শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
ম্যাককালামরা বেশ কিছু সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
যেখানে সাকিবদের আলোচনায় সবচেয়ে প্রাধান্য পেয়েছে স্পট ফিক্সিং ও বেতন বৈষম্যের বিষয়টি। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে খেলোয়াড়দের বেতন বৈষম্য দূর করা না গেলে ক্রিকেটাররা আগ্রহ হারাবেন। সেইসঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ের মতো দুর্নীতিও কমানো যাবে না।
সিডনিতে গত মঙ্গলবার এবং আজ বুধবার বার্ষিক সভায় এমনই সতর্কবার্তাই দিয়েছেন তারা। এজন্য ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।
সভায় সাকিব আল হাসান বলেন, টেস্টের তুলনায় টি-টুয়েন্টি থেকে বেশি আয়ের সুযোগ থাকার কারণে বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটকে আর তাদের মূল লক্ষ্য হিসেবে দেখছেন না।
বিশ্বের সব দেশেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটারা জাতীয় দল ছেড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ঝুঁকে পড়ছেন। এর উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশের ক্রিকেটারদের কথা।
এ প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও এমসিসি কমিটির সদস্য পন্টিং বলেছেন, ইংলিশ কিংবা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা জাতীয় দল ছেড়ে আইপিএল খেলতে যান না। কারণ বোর্ড তাদের সন্তোষজনক বেতন দিয়ে থাকে। তাই বছরের বেশিরভাগ সময় ধরে টেস্টে সেরা খেলোয়াড় পেতে ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি চুক্তি নিশ্চিত করা উচিত। এতে তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার আগ্রহে ভাটা পড়বে না।
ক্রিকেটারদের বেতন বৈষম্যনিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে ইএসপিএন-ক্রিকইফো। সেখানে জানানো হয়, দেশের হয়ে খেলে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ আয় করেছেন ১.৪৬৯ মিলিয়ন ডলার। বিপরীতে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার আয় করেছেন মাত্র ৮৬ হাজার ডলার।
আবার ভারতের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, অধিনায়ক বিরাট কোহলির চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছেন কোচ রবি শাস্ত্রী। গত বছর কোহলির ১ মিলিয়ন ডলারের বিপরীতে শাস্ত্রীর আয় ছিল ১.১৭ মিলিয়ন ডলার।
সাকিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে পন্টিং বলেন, সাকিব উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক দিন ধরে চলমান কিছু সমস্যা আর ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি এও বলেছেন, টাকা কোথায় যায় সে বিষয়টা আইসিসিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিশাল অঙ্কের টাকা হয়ত সঠিক জায়গাতেই যাচ্ছে, কিন্তু খেলোয়াড়দের কাছে যেভাবে যাওয়া উচিত, সেভাবে যাচ্ছে না।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এ জাতীয় সমস্যা সমাধানে বিশ্বজুড়ে খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে আরো শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে দুর্নীতি বন্ধে বোর্ডগুলোর গভর্নিংবডিকে বেশি সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
স্পট ফিক্সিং প্রসঙ্গে কথা বলেছেন কুমার সাঙ্গাকারা। বলেন, ক্রিকেটকে কলুষিত করার মাধ্যম স্পট ফিক্সিং। আর এর মূল টার্গেট তরুণ ক্রিকেটাররা। এজন্য ক্রিকেটারদের সুশিক্ষার ওপর জোর দেওয়া দরকার। বিশ্বজুড়ে প্রচুর ক্রিকেট খেলা হচ্ছে। তাই স্কুল পর্যায়ের ক্রিকেট থেকেই দুর্নীতি সম্পর্কে তরুণদের সচেতন করতে হবে।